• বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন ২–২.৫ কোটি টাকার চাঁদাবাজি: শ্রম উপদেষ্টা মাত্র ৯দিনে চবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন লাখ ছাড়িয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় অবতরণ করছে না, অনিশ্চিত খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা স্বামীকে নিয়ে চিরকুট লিখে গৃহবধূর আত্মহত্যা সাংস্কৃতিক শক্তিতে বদলে যেতে পারে কক্সবাজারের পর্যটন চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারে নেমেছে স্বস্তির হাওয়া, তবে ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় এক স্থলবন্দর দিয়েই এসেছে ৬০ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রামের ‘ক্যান্ডি’র স্বাদের জিলাপির সিরায় ভাসছিল মাছি–মশা চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বিএনপির কঠোর হুশিয়ারি এনসিপির সঙ্গে জোটে গেলো এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

চবিতে উত্তেজনা চরমেঃ স্থানীয়দের ধাওয়ায় উপ-উপাচার্য অসুস্থ

/ ৩৪
রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫
Screenshot 2025 08 31 143331

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ফের মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মুখোমুখি অবস্থানকালে স্থানীয়দের ধাওয়ায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

পরে নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় অধ্যাপক কামাল উদ্দিনকে গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সম্প্রতি তার বাম হাতে অস্ত্রোপচার হওয়ায় শারীরিকভাবে তিনি দুর্বল ছিলেন। তিনি ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা পরিস্থিতি শান্ত করতে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছিলেন।

এছাড়া প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ইটের আঘাতে আহত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চবি মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে যান।

শনিবার মধ্যরাতের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক বন্ধ করে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন। একপর্যায়ে রাতের সংঘর্ষস্থলে শিক্ষার্থীরা গেলে স্থানীয়রা লাঠিসোটা হাতে সেখানে উপস্থিত হয়, ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

আজ দুপুরে ইটপাটকেলের আঘাতে আরও অন্তত চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান করছেন, আর স্থানীয় বাসিন্দারা জোবরা এলাকায় জড়ো হয়েছেন।

শনিবার রাতে দেরিতে বাড়ি ফেরায় এক ছাত্রীকে বাসার দারোয়ান মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এরপর থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষার্থীরা শতাধিক দোকান ও বাড়ির জানালাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

রাতের ঘটনার বিচার দাবিতে রোববার সকালে শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

সংঘর্ষের পর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেন। তবে ক্লাস ও শাটল ট্রেন পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলবে।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে অন্তত ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দুই শিক্ষকও আহত হয়েছেন।


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ