• বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন ২–২.৫ কোটি টাকার চাঁদাবাজি: শ্রম উপদেষ্টা মাত্র ৯দিনে চবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন লাখ ছাড়িয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় অবতরণ করছে না, অনিশ্চিত খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা স্বামীকে নিয়ে চিরকুট লিখে গৃহবধূর আত্মহত্যা সাংস্কৃতিক শক্তিতে বদলে যেতে পারে কক্সবাজারের পর্যটন চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারে নেমেছে স্বস্তির হাওয়া, তবে ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় এক স্থলবন্দর দিয়েই এসেছে ৬০ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রামের ‘ক্যান্ডি’র স্বাদের জিলাপির সিরায় ভাসছিল মাছি–মশা চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বিএনপির কঠোর হুশিয়ারি এনসিপির সঙ্গে জোটে গেলো এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

দেশবিদেশ প্রতিবেদক / ৭৯
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
cvoice24 2510031124

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হচ্ছে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। যা চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশ ডিম ছাড়ার মূল সময়। এ সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ সাগর থেকে পদ্মা-মেঘনায় উঠে আসে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই প্রতিবছরের মতো এবারও সরকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় জেলেদের মাছ ধরা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। বর্তমানে চাঁদপুরে নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬১৫ জন।

শুক্রবার সকালে দেখা গেছে, জেলেরা নৌকা ও সরঞ্জাম গুছিয়ে ঘাটে ফিরছেন। কেউ নৌকার ইঞ্জিন খুলে রাখছেন, কেউ জাল গুছিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।

হরিনা ঘাটের জেলে সবুজ মিয়া বলেন, “সরকার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অসাধু জেলে এ সময়ও মাছ ধরে। তারা বন্ধ না করলে নদীতে ইলিশ কমে যাবে।”

অন্য জেলে মনির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা সংসার চালাই মাছ ধরার টাকায়। ২২ দিন আয় নেই। যদি সরকার বড় একটা অনুদান দিত, তাহলে অন্তত পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে পারতাম।”

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ জানান, মা ইলিশ রক্ষায় জেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলেদের নৌকার ইঞ্জিন খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ১-২ বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।”

জেলেদের সহায়তায় সরকার ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রতি পরিবারে ২৫ কেজি করে চাল দিচ্ছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিস্তি আদায় না করার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ