• বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন ২–২.৫ কোটি টাকার চাঁদাবাজি: শ্রম উপদেষ্টা মাত্র ৯দিনে চবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন লাখ ছাড়িয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় অবতরণ করছে না, অনিশ্চিত খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা স্বামীকে নিয়ে চিরকুট লিখে গৃহবধূর আত্মহত্যা সাংস্কৃতিক শক্তিতে বদলে যেতে পারে কক্সবাজারের পর্যটন চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারে নেমেছে স্বস্তির হাওয়া, তবে ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় এক স্থলবন্দর দিয়েই এসেছে ৬০ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রামের ‘ক্যান্ডি’র স্বাদের জিলাপির সিরায় ভাসছিল মাছি–মশা চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বিএনপির কঠোর হুশিয়ারি এনসিপির সঙ্গে জোটে গেলো এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

নিবন্ধন পেতে শেষ মুহূর্তে ইসিতে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর ধরনা

দেশবিদেশ প্রতিবেদক / ৪৫
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
1757855128.EC

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধন পেতে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ধরনা দিচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দলগুলো। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক ডজনের মতো দল ইসির শুনানিতে অংশ নেয়। শুনানি নেন ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ।

তিনি জানান, “প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ২২টি দলকেই আমরা ডেকেছিলাম। অনেক দল আজ আসেনি, তবে তাদের আগামীকাল আসতে হবে।”

শুনানিতে অংশ নেওয়া দলগুলো

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), আম জনতার দল, নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি), বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জাতীয় জনতা পার্টি (ওসমানী), মৌলিক বাংলা, জনতার দল, বাংলাদেশ বেকার সমাজ, জাসদ (শাহজাহান সিরাজ), ফরওয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি।

এর আগে ইসির আহ্বানে ১৪৩টি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। প্রথম দফায় কোনো দলই শর্ত পূরণ না করায় তাদের ঘাটতি পূরণের সময় দেওয়া হয়। পরে ৮৪টি দল সাড়া দিলেও, শেষ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের তদন্ত শেষে ২২টি দলকে যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আনা হয়।

তদন্তে উত্তীর্ণ দল

তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ফরোয়ার্ড পার্টি, আম জনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি ও নতুন বাংলাদেশ পার্টি।

ইসি সূত্র জানায়, মাঠ পর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদনের পর্যালোচনা শেষ হলে চলতি মাসেই নিবন্ধনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতে পারে।

নিবন্ধনের শর্ত

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে একটি দলের থাকতে হবে কেন্দ্রীয় কমিটি, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও ১০০টি উপজেলায় কমিটি। প্রতিটি কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া দলের কেউ যদি আগে সংসদ সদস্য থাকেন বা কোনো নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোট পান, সেটিও নিবন্ধনের যোগ্যতা হিসেবে গণ্য হয়।

নিবন্ধিত দলের সংখ্যা

বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫১টি। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল নিবন্ধন পেলেও বিভিন্ন কারণে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। সম্প্রতি আদালতের আদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন কার্যকর করেছে।

এআরই/দেশবিদেশ


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ