
শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে ২৫৬ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আরও দুই মাস সময় পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে দুদক সেদিন প্রতিবেদন দিতে না পারায় আদালত আগামী ২৬ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন-সার্বিক) আমিনুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে শেয়ারবাজারে কারসাজি চালিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করেন। তারা কৃত্রিমভাবে নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বাজারে গুজব ছড়ান এবং ২৫৬ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন। এ অর্থ নিজেদের বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।
সাকিব আল হাসানের সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে এজাহারে বলা হয়, তিনি প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স ও সোনালী পেপারস লিমিটেডের কারসাজি করা শেয়ারে বিনিয়োগ করে প্রায় ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি ‘রিয়েলাইজড ক্যাপিটাল গেইন’ অর্জন করেন।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন— সমবায় অধিদপ্তরের সাবেক উপনিবন্ধক আবুল খায়ের (হিরু) ও তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মো. বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম।
এআরই/দেশবিদেশ