
দেশের জার্সি পরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ, এটা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্যই এক স্বপ্ন। দলের হয়ে খেলার পাশাপাশি গোল করে দলকে জয়ী করে তোলার অনুভূতি হলো ক্যারিয়ারের অন্যতম উজ্জ্বল মুহূর্ত। তবে কিছু ফুটবলার আছেন, যারা জাতীয় দলের হয়ে গোল করার অভ্যাস তৈরি করেছেন। তারা অনেক ম্যাচ খেলেছেন এবং দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন। চলুন, জেনে নেয়া যাক শীর্ষ দশ ফুটবলারদের সম্পর্কে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, যিনি ৩৯ বছর বয়সেও গোলের ক্ষুধা কমাননি, এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। ২২১ ম্যাচে ১৩৮ গোল করেছেন তিনি, এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার মুকুট তার মাথায়। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী এই তারকা এখনও খেলছেন দুর্দান্ত ফর্মে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন লিওনেল মেসি, যিনি ১৯৩ ম্যাচে করেছেন ১১২ গোল। বিশ্বকাপ জয়ের পরেও জাতীয় দলের জন্য নিজেকে সর্বোচ্চ দিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
তৃতীয় স্থানে আছেন ইরানের কিংবদন্তি আলী দায়ি। ১৪৮ ম্যাচ খেলে তিনি গোল করেছেন ১০৮টি। একসময় তিনি ছিলেন এই তালিকার শীর্ষে, কিন্তু রোনালদো ও মেসির আবদান তাকে অতিক্রম করেছে।
ভারতের ফুটবল পোস্টার বয় সুনীল ছেত্রী চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। ১১৫ ম্যাচে ৯৫ গোল করে তিনি দেশের জন্য একটি আলাদা রেকর্ড গড়েছেন, যদিও কিছু সময় তিনি অবসরে ছিলেন, কিন্তু আবারও জাতীয় দলের প্রতি দায়িত্বশীলতার জন্য ফিরে এসেছেন।
পাঁচ নম্বরে রয়েছে বেলজিয়ান তারকা রোমেলু লুকাকু এবং মালয়েশিয়ার মোখতার দাহারি। দুজনের গোলসংখ্যা ৮৯ হলেও, ম্যাচে এগিয়ে দাহারি; তার রয়েছে ১৪২ ম্যাচ, যেখানে লুকাকুর ১২৪ ম্যাচ।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে আলী মাবখুত (সংযুক্ত আরব আমিরাত) এবং রবার্ট লেভানডোভস্কি (পোল্যান্ড), উভয়ের গোল সংখ্যা সমান ৮৫। তবে, হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাস আছেন এর পরেই, ৮৪ গোল করে মাত্র ৮৫ ম্যাচে।
৮ নম্বর স্থানে জাম্বিয়ার গডফ্রে চিতালু এবং ব্রাজিলের নেইমার জুনিয়র, দুজনের গোল ৭৯। তবে, চিতালুকে অর্জনের জন্য ১১১ ম্যাচ খেলতে হয়েছে, যেখানে নেইমার ১২৮ ম্যাচে এই গোল পেয়েছেন।
তালিকার ৯ ও ১০ নম্বরে রয়েছেন যথাক্রমে ইরাকের হুসেইন সাঈদ (৭৮ গোল) এবং জাপানি ফুটবলার কুনিশিগে কামামোতো ও কুয়েতের বাশার আব্দুল্লাহ (৭৫ গোল), উভয়েই।
এই ফুটবল তারকারা শুধুমাত্র নিজেদের দেশের জন্য গৌরবই বয়ে আনেননি, বরং তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বের ইতিহাসেও নিজেদের নাম মিশিয়ে রেখেছেন।
এমএইচ/ এমআর/দেশবিদেশ