• রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

নিরাপত্তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩১
শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫
prothomalo bangla 2025 10

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অসুবিধা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের উপায়’ শীর্ষক এক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

“নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে, এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো আজকের এই কর্মশালা। সারা দেশজুড়ে এমন কর্মশালা চলছে,”—বলেন সিইসি।

‘নিরাপত্তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’

বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “নির্বাচনে প্রশাসনিক, আইনগত, কারিগরি—সব ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ভোট গ্রহণের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপত্তা। এটা এখন বিশাল আকারে দেখা দিয়েছে, আর এটিই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।”

তিনি বলেন, প্রশাসনের মধ্যে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, কোথায় দায়িত্ব দেওয়া হবে—এসব বিষয়ও বড় চ্যালেঞ্জ। কোনো কেন্দ্রে গোলযোগ হলে কীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে, সেটাও আগে থেকে স্পষ্ট থাকতে হবে।

‘প্রিসাইডিং অফিসারই কেন্দ্রের প্রধান নির্বাচন কমিশনার’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “নির্বাচনের দিন আপনি ওই কেন্দ্রের প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আইন আপনাকে সর্বময় ক্ষমতা দিয়েছে। গোলমাল হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেবেন। তিনটা কেন্দ্রে গোলমাল হলে তিনটাই বন্ধ করে দেবেন—দরকার হলে পুরো আসনই বন্ধ করে দেব। আমরা সহজে ছাড়ার পাত্র নই।”

তিনি আরও বলেন, “সব ক্ষমতা আপনাদের হাতে দেওয়া হবে। কিন্তু ক্ষমতা ব্যবহার না করলে সেটিও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে সেটা ভালোভাবে দেখা হবে না।”

‘নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে’

সিইসি নাসির উদ্দিন নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন,“যদি আপনার কর্মকাণ্ডে ধারণা আসে যে আপনি কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য কাজ করছেন, তাহলে আইনের প্রয়োগে আপনার নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলবেন। নির্বাচন পরিচালনায় সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি আশ্বাস দেন,“আইন ও নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করলে যেকোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন আপনাদের পাশে থাকবে। ইনশাআল্লাহ, আপনাদের পিছনে আমরা আছি।”

নতুন ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণের নির্দেশ

পোস্টাল ব্যালট, বিদেশে অবস্থানরত ভোটারদের ভোটাধিকারসহ নতুন বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন,“আইনের শাসন কাকে বলে, আমরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে তা দেখাতে চাই। একটি উদাহরণ তৈরি করতে দিন—যাতে সবাই বুঝতে পারে, নির্বাচন কমিশন আইন ও নিয়মের অধীনেই কাজ করে।”

এআরই/দেশবিদেশ


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ