• শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

হাই হিল পরলে মানসিক সমস্যা বাড়তে পারে

দেশবিদেশ ডেস্ক / ৫০
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
image 211455 1754557300

ফ্যাশনের জগতে নারীদের সৌন্দর্য ও স্টাইলের অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছে হাই হিল। বিশেষত পার্টি, অফিস কিংবা উৎসব—প্রায় সব আয়োজনেই হাই হিল যেন অপরিহার্য অনুষঙ্গ। অনেকের ধারণা, এটি নারীদের করে তোলে আরও আকর্ষণীয়, আত্মবিশ্বাসী ও স্মার্ট। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই স্টাইল স্টেটমেন্টের পেছনে লুকিয়ে আছে উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক যন্ত্রণা।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের এক গবেষণা জানাচ্ছে, নিয়মিত হাই হিল পরা নারীদের শরীরের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। হাঁটার গতি ধীর হয়ে যায়, ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং হাঁটু ও মেরুদণ্ডে বাড়তি চাপ পড়ে। এসব শারীরিক অস্বস্তি থেকে ধীরে ধীরে জন্ম নেয় মানসিক চাপ, যা উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ এবং অবসাদের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, প্রতিদিন হাই হিল পরা নারীরা ফ্ল্যাট জুতো ব্যবহারকারীদের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি পিঠের ব্যথা ও মানসিক চাপের শিকার হন। দীর্ঘসময় ধরে শরীরে ব্যথা থাকলে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়, যা সরাসরি মেজাজ ও মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরামদায়ক পোশাক বা সাজসজ্জা আমাদের মস্তিষ্কে ইতিবাচক উদ্দীপনা তৈরি করে এবং ডোপামিন নিঃসরণ বাড়ায়। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায় ও মন ভালো রাখে। কিন্তু হাই হিল যদি শরীরে ব্যথা ও চাপ সৃষ্টি করে, তাহলে সেই ইতিবাচক অনুভূতি উল্টে গিয়ে মানসিক অস্বস্তি ডেকে আনে।

তাহলে কি হাই হিল পুরোপুরি বর্জন করতে হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনভাবে ব্যবহার করলে ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। কিছু করণীয় হলো—

সঠিক হিল নির্বাচন করুন: চওড়া ও ছোট হিল ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে এবং চাপ কমায়।

সময়সীমা নির্ধারণ করুন: প্রতিদিন নয়, বরং বিশেষ অনুষ্ঠান বা প্রয়োজনীয় মুহূর্তেই হিল পরুন। দীর্ঘসময় ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

পায়ের ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং পেশিকে নমনীয় রাখে এবং ব্যথা কমায়।

অতএব, হাই হিল ব্যবহার ফ্যাশনের অংশ হলেও আরাম ও স্বাস্থ্যের গুরুত্ব মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিলে সৌন্দর্য যেমন বজায় থাকবে, তেমনি মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও রক্ষা পাবে।


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ