
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিশেষ নিলামে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিযোগিতামূলক দরদামে পণ্য বিক্রি হওয়ায় এ নিলাম থেকে প্রায় ৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফায় বিশেষ আদেশে আরও ২৭৩টি কনটেইনার নিলামে তোলা হচ্ছে। এর আগে আগস্টে প্রথম বিশেষ নিলামে ৩৪০ কনটেইনার পণ্য বিক্রি হয়, যেখানে অংশ নেন দেড় হাজারের বেশি বিডার—যা সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ১৪ মে নতুন আদেশ জারি করে। এতে ভিত্তিমূল্যের ৬০ শতাংশে বিক্রির বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে প্রথম নিলামেই সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে পণ্য বিক্রির সুযোগ রাখা হয়। আইনগত জটিলতা এড়িয়ে ও কনটেইনার জট কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার রাসেল আহমেদ বলেন, “এনবিআর নিলামটিকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যেন বন্দরের কনটেইনার জট কমে। আমরা লক্ষ্য রেখেছি প্রতি মাসে অন্তত ৫০০ কনটেইনার নিলামে তুলব।”
বিশেষ নিলামে অংশ নিয়ে বিডাররা খুশি হলেও বন্দরে পণ্য খালাসে হয়রানি ও কনটেইনার মুভমেন্টে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস জানিয়েছে, বিশেষ নিলামের মাধ্যমে প্রায় চার হাজার কনটেইনার পণ্য বিক্রি করা হবে। নিলামে বিক্রি হওয়া পণ্য খালাসের জন্য বিডারদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
এআরই/দেশবিদেশ