• শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনে জনসাড়া নেই, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

দেশবিদেশ প্রতিবেদক / ৩৪
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
CTG LOckdown

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচিতে সকাল থেকে তেমন কোনো সাড়া দেখা যায়নি। তবে বিএনপি, জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো সকাল থেকেই নগরের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় অবস্থান নেয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের উপজেলাগুলোতে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও প্রবেশপথে সকাল থেকেই বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি এবং মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা লক্ষ্য করা গেছে।

নগরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল দেখা গেছে বিভিন্ন সড়কে। চট্টগ্রাম শহরে বুধবার রাত থেকেই দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।

যদিও লকডাউনের ঘোষণায় জনজীবনে বড় কোনো প্রভাব পড়েনি, তবে সকাল থেকে সড়কে যানবাহন কিছুটা কম ছিল। চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কায় যানবাহন মালিক ও চালকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ দেখা গেছে। অফিস-আদালত খোলা থাকলেও সেবাপ্রার্থীর সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল।

সকালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন। বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকা, চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর এবং বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন মোড়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের অবস্থান ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ছাত্রশিবিরের মহানগর উত্তর শাখার প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক বলেন, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে শহরজুড়ে বাইক শোডাউন চলছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহানগর উত্তর সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইমুনুল ইসলাম মামুন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কর্মসূচি দিনভর চলবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজা জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো পাল্টা কর্মসূচি নেই। ছাত্রদলের কিছু কার্যক্রম তাদের নিজস্ব উদ্যোগে হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সারাদেশে লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ। একইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করে। আগামী ১৭ নভেম্বর (সোমবার) এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আসামি হিসেবে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। জুলাই হত্যাযজ্ঞ নিয়ে এটাই প্রথম মামলা যার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।

রায়হান/দেশবিদেশ


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ