
চট্টগ্রামে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বন্দর থেকে সড়ক যোগাযোগ যেন সহজ ও কার্যকর হয় সে বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগের কথা বলেন ।
রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ’ সংক্রান্ত প্রান্তিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনা বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে একথা জানানো হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে স্বীকার করে সভায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুত শৃঙ্খলা ফেরানোর তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান সড়ক, রেল, বিমান ও নৌপথ—এই চার মাধ্যমকে টেকসই ও সমন্বিতভাবে উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে একইসঙ্গে তিনি প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদী রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত রেখে সমন্বিত পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদেরকে এই কাজটা করতে হবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না, পানিকে শান্ত রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে পানি আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ। আমরা যখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদীর কথা চিন্তা করব, তখন অবশ্যই আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে নদীগুলো আমাদের প্রাণ।’
প্রাথমিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনউদ্দিন বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সামষ্টিক মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনভাবে কাজ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক লাইফলাইনটা গড়ে ওঠে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যেসব ক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু সড়ক নির্মাণ করে দিলেই পুরো অঞ্চলটাকে জাতীয় ‘কানেক্টিভিটির’ মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব, সেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলোকে আরও পরিকল্পিতভাবে করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি ‘প্ল্যানার্স উইং’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। এটাকে বিবেচনায় রেখে অবশ্যই এসব বন্দর থেকে সড়ক যোগাযোগ যেন সহজ ও কার্যকর হয় সে বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
এআর/দেশবিদেশ