• শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

সরাসরি কক্সবাজার শহর থেকে সেন্ট মার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩১
বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
dgsg

পর্যটকরা আগামী ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার অভ্যন্তরীণ নৌঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজে সেন্ট মার্টিনে যাওয়া সম্ভব হবে। তবে আইনগত বিধিনিষেধের কারণে উখিয়ার ইনানী থেকে সরাসরি যাওয়া যাবে না।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত ২২ অক্টোবর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, যাতে দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য ১২টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ধারণা করেছিলেন, উখিয়ার ইনানী থেকে সেন্ট মার্টিনে সরাসরি জাহাজ চলবে, কিন্তু আইনগত বিধিনিষেধের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতকে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের পৌরসভা, ইনানী মৌজা ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ অন্তর্ভুক্ত।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০)-এর ধারা অনুযায়ী, ইসিএ এলাকায় ক্ষতিকর কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না। পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ জমির উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন, তাই আগের নিয়ম অনুযায়ী কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়ার ঘাট থেকে জাহাজে সেন্ট মার্টিনে যাওয়া যাবে।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। নভেম্বর মাসে রাত্রিযাপনের সুযোগ না থাকায় পর্যটকরা খুব কম সময় দ্বীপে থাকতে পারবেন। তিনি সরকারের কাছে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। অনুমোদন ছাড়া সেন্ট মার্টিনে কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া দৈনিক ২ হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে যাতায়াত করতে পারবে না।

নভেম্বর মাসে পর্যটকরা শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত্রিযাপন অনুমোদিত থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য সৈকতে রাতের আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি, বারবিকিউ, কেয়াবনে প্রবেশ, ফল সংগ্রহ বা বিক্রি, সামুদ্রিক প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা, মোটরচালিত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে এবং পলিথিন বা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সেন্ট মার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজুল ইসলাম বলেন, দ্বীপবাসীর দিনমজুরা আয় না থাকায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। পর্যটকরা ফিরে আসলে তাদের জীবনে কিছুটা স্বস্তি আসবে।

এইচকে/দেশবিদেশ


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ