• শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

‘ভিত্তিহীন সংবাদে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে’ অভিযোগ বন্দরের

চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানা বিদেশিদের হাতে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই: বন্দর কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৪
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
file 1761491384

চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো টার্মিনালের মালিকানা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অসত্য তথ্য সাধারণ জনগণ ও বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে, যা পাঠান বন্দরের চিফ পারসোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,“সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল পরিচালনা নিয়ে কতিপয় সংবাদমাধ্যম সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করছে। এসব সংবাদ সাধারণ জনগণ ও বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করছে।”

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানায়,“বন্দরের সকল টার্মিনাল, জেটি, ইয়ার্ড ও স্থাপনার একক মালিকানা বন্দর কর্তৃপক্ষের। কোনো সময়ই—অতীতে বা বর্তমানে—কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে টার্মিনালের মালিকানা হস্তান্তরের পরিকল্পনা সরকারের বা বন্দরের ছিল না।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত বিধিবিধান অনুযায়ী শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জনবান্ধবভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

গণমাধ্যমে ধারণাভিত্তিক বা অনির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে সংবাদ প্রকাশের সমালোচনা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে,“মনগড়া বা অবাস্তব সংবাদ বন্দরের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা জাতীয় অর্থনীতির হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দর এবং দেশের উন্নয়নের জন্য বড় অন্তরায়।”

বন্দর কর্তৃপক্ষ আরও আহ্বান জানিয়েছে—“চট্টগ্রাম বন্দর সম্পর্কিত সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরও বেশি পেশাদার ও দায়িত্বশীল হতে হবে। অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), বে টার্মিনাল ও লালদিয়ার চর পরিচালনার জন্য তিনটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজের অংশ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচিও চলছে।

এ পরিস্থিতিতে ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বন্দর সংলগ্ন এলাকায় ৩০ দিনের জন্য মিছিল, সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন নিষিদ্ধ করেন। সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,“বন্দরের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ বজায় রাখা, ক্রমবর্ধমান উন্নতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।”


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ