
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের মিছিল ও সরকারবিরোধী স্লোগানের ঘটনায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খানসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৬০–৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে আনোয়ারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার ১১ নম্বর জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি, রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম (পি.এস সায়েম), এম এ কাইয়ুম শাহ, রেজাউল করিম অনিস, অসীম কুমার দেব, আমিন শরীফ, মাস্টার মো. ইদ্রিচ, ইয়াছিন হিরু, কাজী মোজাম্মেল হক, মহসিন আলম, নজরুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ, রাশেদ নেওয়াজ ছুট্ট মেম্বার, শিহাবুজ্জামান (সিহাব উদ্দিন), জাফর উদ্দিন চৌধুরী (ভিপি জাফর), ছগির আহমদ আজাদ, শাহাজাদা এস এম মহিউদ্দিন, ইমরান হোসেন বাবু (পিএস বাবু), জসিম উদ্দিন আমজাদি, এম এ হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, অজিজুল হক চৌধুরী নসু, মেম্বার সাজিয়া সুলতানা ও রনি বল।
আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, “মামলার তদন্ত চলছে, এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
মামলার এজাহারে বলা হয়, পুলিশের কাছে খবর আসে—নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কিছু সদস্য রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছে। তারা লাঠি, রড, দা ও কিরিচ নিয়ে সরকারবিরোধী শ্লোগান দিয়ে এলাকায় মিছিল করছিলেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আব্দুল কাদের, আব্দুল খালেক ও মো. আরিফ নামে তিনজনকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২০টি কাঠের লাঠি, ১০টি ইটের খোয়া, দুটি দা ও আটটি লোহার টুকরো উদ্ধার করা হয়।
এমআর/দেশবিদেশ