• রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

ইয়াবা ডন সাইফুল করিমের সম্পত্তি নিলামে দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪৯
শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫
1760162829.Saiful

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক তালিকায় শীর্ষস্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন কক্সবাজারের ইয়াবা ডন খ্যাত সাইফুল করিম। ২০১৯ সালের ৩০ মে রাতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তিনি।

নিহতের মৃত্যুর ছয় বছর পর আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি—এইবার ব্যাংক ঋণ খেলাপি হিসেবে।

চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংক ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সাইফুল করিমের প্রতিষ্ঠান মেসার্স হানিফ ইন্টারন্যাশনাল–এর নামে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩১ টাকা।

এই ঋণ পরিশোধ না হওয়ায় ব্যাংক কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বন্ধক রাখা জমি ও ভবন নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের পাওনা টাকার বিপরীতে ২০১২ ও ২০১৪ সালে সাইফুল করিম কক্সবাজারের টেকনাফ, সদর এবং চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী এলাকায় মোট ৭২.১৬ শতক জমি, ফ্ল্যাট ও দোকান ভবন মর্টগেজ করেন। দরপত্র জমা নেওয়া হবে আগামী ২৯ অক্টোবর দুপুর ২টা পর্যন্ত, এবং বিকেল ৩টায় তা খোলা হবে।

ইসলামী ব্যাংক ওআর নিজাম রোড শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) মোহাম্মদ সানা উল্লাহ বলেন,“২০১২ সালে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে সাইফুল করিম নিহত হওয়ার পর থেকে কোনো কিস্তি পরিশোধ হয়নি। তাঁর স্ত্রী হামিদা বেগমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওনা আদায় সম্ভব হয়নি, তাই ব্যাংক নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

তিনি জানান, পাওনা টাকার মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আসল, বাকিটা মুনাফা।

এদিকে, নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে সাইফুল করিমের ব্যবসায়িক ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা ফিরিঙ্গিবাজারের ১২৫ ব্রিজঘাটের এস বিল্ডিং ঘুরে দেখা গেছে, সেটি বর্তমানে একটি আবাসিক ফ্ল্যাট, যেখানে হানিফ ইন্টারন্যাশনাল নামে কোনো অফিস নেই।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম শহরের ভিআইপি টাওয়ারে সাইফুল করিমের স্ত্রী হামিদা বেগমের নামে থাকা ফ্ল্যাট এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেয়ারটেকার।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা যায়, নিহত হওয়ার এক মাস আগে, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল, সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে তাঁর স্ত্রী হামিদা বেগমের বিরুদ্ধেও ৩৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক।

দুদকের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হামিদার নামে থাকা ভিআইপি টাওয়ারের ফ্ল্যাটটি ইসলামী ব্যাংকে মর্টগেজ রাখা হয়েছে।

এআরই/দেশবিদেশ


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ