• রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, থমথমে জনজীবন

দেশবিদেশ প্রতিবেদক / ৬৩
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
cvoice24 2509280558

পাহাড়ি স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠা খাগড়াছড়ি এখন থমথমে। কয়েকদিনের অবরোধ, মিছিল ও সহিংসতার পর জেলা সদর ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা ১৪৪ ধারা এখনো বহাল রয়েছে।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালেও জনজীবন ছিল কার্যত স্থবির। শহরের ব্যস্ত সড়কগুলোতে সীমিত আকারে মানুষের চলাচল দেখা গেলেও অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া পাহারা চলছে।

শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজন পাড়া, নারিকেল বাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার ও শহীদ কাদের সড়কে পাহাড়ি–বাঙালি দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় অন্তত ২৫ জন আহত হন; গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। রাতে বৌদ্ধবিহারে নাশকতার প্রস্তুতিকালে তিন পাহাড়ি যুবককে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী।

অবরোধ চলাকালে বিভিন্নস্থানে টায়ারে আগুন দিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। আলুটিলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং নারানখাইয়ায় একটি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে সাজেক ভ্রমণে যাওয়া প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়েছিলেন; পরে নিরাপত্তা দিয়ে তাদের গন্তব্যে ফিরিয়ে আনা হয়।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৩ সেপ্টেম্বর, জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায়। সেদিন সন্ধ্যায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় চয়ন শীল (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র–জনতার ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচি ডাকা হয়।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।

এআরই/দেশবিদেশ


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ