
ইসলামী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তা চাকরি হারানোর আশঙ্কায় আছেন। তাদের অভিযোগ, ‘বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষা’র নামে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই পরিকল্পনা করছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত কর্মকর্তারা। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সিনিয়র অফিসার, অফিসার, অফিসার (ক্যাশ), জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) ও সহকারী কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছে। তবে এই সার্কুলার শুধু ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের জন্যই দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশে গত আগস্টে এ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পরও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা আয়োজন করছে। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, এ পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য বৈষম্যমূলক এবং ছাঁটাইয়ের পথ তৈরি করা।
আইনজীবী আব্দুস সাত্তার আরও বলেন, ব্যাংকের স্থায়ী কর্মীরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, গুদাম প্রহরী ও নিরাপত্তা কর্মীদের কোনো পরীক্ষা ছাড়াই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, এ উদ্যোগ বাংলাদেশের সংবিধান, শ্রম আইন ও ব্যাংকিং বিধির পরিপন্থী। দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়মিত প্রমোশন পরীক্ষা আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান আলী চৌধুরী, আইনজীবী কে এম সাইফুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মুশফিকুল আবরার।
এআরই/দেশবিদেশ