• শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামে সড়কে গতিসীমা লঙ্ঘন করছে ৪৪% যানবাহন, মোটরসাইকেল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ

দেশবিদেশ প্রতিবেদক / ৫১
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
cvoice24 2509240955

চট্টগ্রাম নগরে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। সর্বশেষ এক জরিপে দেখা গেছে, নগরের ৪৪ শতাংশ যানবাহনই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নির্ধারিত গতিসীমা মেনে চলে না। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে মোটরসাইকেল—যেখানে ৭০ শতাংশ চালকই গতিসীমা অতিক্রম করেছেন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পেনিনসুলা হোটেলে প্রকাশ করা হয় ‘রোড সেফটি রিস্ক ফ্যাক্টরস ইন চট্টগ্রাম: স্ট্যাটাস সামারি রিপোর্ট ২০২৪’। গবেষণাটি পরিচালনা করে জনস হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট (জেএইচ-আইআইআরইউ) ও সিআইপিআরবি, সহযোগিতায় ছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস। এটি ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেইফটি (বিআইজিআরএস) কর্মসূচির আওতায় সম্পন্ন হয়।

জরিপের প্রধান ফলাফল: বৈশ্বিক মানদণ্ডে চট্টগ্রামের সড়কগুলোতে ৩৪% যানবাহন গতিসীমা অতিক্রম করেছে। লোকাল ও কালেকটর রোডে এ হার ৪৫%। কর্মদিবসে ৪২% যানবাহন গতিসীমা লঙ্ঘন করলেও ছুটির দিনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭%-এ। চট্টগ্রাম সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট (২০২১-২৩) অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৯২% ছিলেন ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারী—যেমন পথচারী, মোটরসাইকেল আরোহী ও থ্রি-হুইলার যাত্রী।

গবেষক ডা. শিরিন ওয়াধানিয়া বলেন, “সড়কে স্পিড সাইন ও গতি নিয়ন্ত্রক স্থাপন, যানবাহনের ধরনভিত্তিক লেন তৈরি এবং পথচারীবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। একই সঙ্গে সিএমপিকে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।”

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান বলেন, “চট্টগ্রামে প্রয়োজনীয় সড়ক নেই, বাস্তবতায় সব মানদণ্ড মানা কঠিন। তবে ভবিষ্যতে আমরা রোড সেফটি সেল গঠন করব, যারা গতি নিয়ন্ত্রক, স্পিড সাইন ও কারিগরি কাজগুলো বাস্তবায়নে কাজ করবে।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক (প্রকৌশল) কে এম মাহাবুব কবির, সিএমপি’র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি। তারা সবাই নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন।

 


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ