
আর মাত্র কয়েকদিন পর শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবকে ঘিরে চট্টগ্রাম নগরের মার্কেটগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। নিউমার্কেট, টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দীন বাজার, আফমি প্লাজা, সানমার ওশান সিটি, আখতারুজ্জামান সেন্টার, ফিনলে স্কয়ারসহ বিভিন্ন শপিং সেন্টারে প্রতিদিনই বাড়ছে কেনাকাটার চাপ।
শনিবার রাতে এবং রোববার সকালে এসব মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে, শাড়ি, ধুতি-পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে চড়া দামের কারণে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সিডিএ মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা শিল্পী কর্মকার বলেন, “দোকানদাররা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে নিয়েছে। ৬০ টাকার কাপড় বিক্রি করছে ৮৫ টাকায়, আর ২ হাজার টাকার থ্রি-পিস ৫ হাজারে।”
টেরিবাজারে হাতে শপিং ব্যাগ ভর্তি শিউলী দাশ বলেন, “পরিবারের সবার জন্য কিনেছি। কালেকশন ভালো, তবে দাম একটু বেশি। দাম কম হলে স্বস্তি পেতাম।”
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, দাম গত বছরের মতোই রয়েছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, “কালেকশন ও দাম দুটো নিয়েই ক্রেতারা সন্তুষ্ট। অনেকে এবার ভারতীয় কাপড় চাইছেন, যার দাম স্থানীয় কাপড়ের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশি।”
ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর পদ্মজা থ্রি-পিস, তানা-বানা ও ঝিমিচু শাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া গরমের কারণে সুতি কাপড়ের চাহিদাও রয়েছে। পূজা উপলক্ষে বিক্রি বেড়েছে বলেও জানান তারা।
তবে লোডশেডিং ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টেরিবাজারের ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াছ বলেন, “দিনে গরম, রাতে জেনারেটর চালিয়ে দোকান চালাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে ক্রেতারা বিরক্ত হয়ে চলে যান।”
শাড়ি ব্যবসায়ী নারায়ণ দাশ নারুও একই অভিযোগ তুলে বলেন, “দিনে পাঁচ-ছয়বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। নতুন কালেকশন দেখাতে না পারলে বিক্রেতা ও ক্রেতা দু’জনেরই ভোগান্তি হয়।”
এআরই/দেশবিদেশ