
চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। তবে স্থানীয় নদীর চেয়ে দক্ষিণের সাগর-উপকূলের ছোট আকারের ইলিশই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। বেপারীরা বলছেন, আর তিন সপ্তাহ পর শুরু হবে মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই জেলেরা নির্বিচারে জালে তুলছেন ইলিশ, আর দেশের নানা প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ভিড় জমাচ্ছেন চাঁদপুরে।
ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, শনিবার বাজারে সরবরাহ ছিল মাত্র ৫০০ মণ, যেখানে অন্য বছর এ সময় প্রতিদিন আসত তিন-চার হাজার মণ ইলিশ।
বর্তমান দাম—এক কেজির নিচে: ১৯০০–২০০০ টাকা,এক কেজি আকার: ২১০০–২২০০ টাকা,এক কেজির বেশি: ২৪০০–২৬০০ টাকা, ছোট ইলিশ: ৫০০–৬০০ টাকা।
চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবেবরাত বলেন , “আগের মতো ইলিশ বাজারে নেই। সরবরাহ কম থাকায় চাহিদা বেশি, আর সে কারণেই দাম বেড়েছে।”
চড়া দামে বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা। নারায়ণগঞ্জের আনোয়ার হোসেন বলেন,“দাম শুনেই কেনার সাহস হয়নি।”
কুমিল্লার জসিম উদ্দিনের দাবি,“দেশের চাহিদা আগে মেটাতে হবে, তারপর রফতানি।”
চাঁদপুরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের অভিমত, “চাঁদপুরে থেকেও বড় ইলিশ খেতে পারছি না। দাম নাগালের বাইরে।”
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলিশ পচনশীল পণ্য। তাই নির্দিষ্ট দামে বিক্রি সম্ভব নয়, সরবরাহের ওপর নির্ভর করে দাম ওঠানামা করে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন সরকারের কাছে যৌক্তিক দাম নির্ধারণের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
এমকেআর/দেশবিদেশ