
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলে দোকানদারের কাছে টেস্টিং সল্ট রাখার অভিযোগে ভিপি আজিজুল হক জরিমানা আরোপ করে লিখিত চুক্তি স্বাক্ষর করান। প্রমাণ হাতে আসার পর দোকানদার অভিযোগ স্বীকার করেন। চুক্তিতে তিন দিনের মধ্যে জরিমানা না দিলে দোকানের চুক্তি বাতিলের সুপারিশের কথা উল্লেখ ছিল।
তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এটি ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী মনে করছেন, ছাত্রনেতার প্রশাসনিক এখতিয়ার নেই যে তারা জরিমানা বা লিখিত চুক্তি বাধ্যতামূলক করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ স্পষ্টভাবে বলেন, ছাত্রনেতাদের কোনো জরিমানার ক্ষমতা নেই; এ ধরনের সিদ্ধান্ত কেবল হল প্রশাসনের মাধ্যমেই কার্যকর হতে পারে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ঈদুল ফয়সাল বলেন, “ডাকসু নেতাদের বিচারিক ক্ষমতা নেই।” তবে তিনি স্বীকার করেন, প্রশাসনের উদাসীনতা ছাত্রনেতাদের এমন উদ্যোগ নিতে বাধ্য করে।
ঘটনাটি ছাত্র রাজনীতির সীমা ও এখতিয়ারের প্রশ্ন নতুন করে সামনে এনেছে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে প্রতিনিধিত্ব আর প্রশাসনিক ক্ষমতার সীমারেখা কোথায়—সেই বিতর্ক এখন তীব্র হচ্ছে।
এসকেআর/দেশবিদেশ