
চট্টগ্রামের হালিশহরে এক ব্যবসায়ীকে বিনা মামলায় হাতকড়া পরিয়ে থানায় নেওয়া এবং ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এএসআই রাকিবুল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হালিশহর থানায় কর্মরত।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্যামলী আবাসিক এলাকার একটি অফিসে।
ব্যবসায়ী তৌহিদুল করিম খন্দকার বাবু অভিযোগ করেন, “প্রথমে এএসআই রাকিবুল ফ্ল্যাট কেনার কথা বলেন। পরে আমি আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড সভাপতি কিনা জিজ্ঞাসা করেন। আমি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয় বললে তিনি বলেন, কোনো সমস্যা নেই, আমরা ঠিক করে দিব। তবে ২ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমাকে বিনা অপরাধে হাতকড়া পরান।”
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনো মামলা ছাড়াই বাবুকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আবার মামলা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের প্রশ্ন, “অপরাধ না থাকলে কেন হাতকড়া? আর যদি অপরাধ থাকে, তবে মামলা ছাড়া ছেড়ে দেওয়া হলো কেন?”
অভিযুক্ত এএসআই রাকিবুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে গিয়েছিলাম। চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
হালিশহর থানার ওসি জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সংক্ষেপে বলেন, “আমি কিছু জানি না। আমি ছিলাম না, ছুটিতে আছি।”
তবে হালিশহর থানার ওসি কিছু জানেননা বললেও ভুক্তভোগীর দাবি, ওসির উপস্থিতিতেই তাকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে কি এএসআই আর ওসি লুকোচুরি খেলছেন?
এআর/দেশবিদেশ