
ফরিদপুরের সংসদীয় আসন অসম পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও পুরোনো সীমানা বহালের দাবিতে ভাঙ্গা থানা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাছাড়া মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার(১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারটা থেকে ঢাকা –বরিশাল ও ঢাকা –খুলনা মহাসড়কের দুই স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় এসব সড়কে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। সড়কেই কাঠ জড়ো করে আগুন দিতেও দেখা গেছে তাদের। এর ফলস্বরুপ রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ২০ টি জেলার সাথে ফরিদপুর জেলার সড়ক যোগাযোগ ও যান চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
ঘটনা চলাকালীন গণমাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ লোকজন চরম বিক্ষিপ্তভাবে ঐ এলাকার ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয় ও থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে। এ সময় উত্তেজিত অবস্থায় সেখানে থাকা পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভয়ানকভাবে ভাঙচুর করেন তারা। তাদের হাতে লাঠি – সোটা দেখা যায় এ সময়।
আবার উপজেলা পরিষদ ভবনের অভ্যন্তরেও প্রায় শ’ খানেক মানুষকে প্রাথমিকভাবে লাঠিসোটা নিয়ে ঢুকতে দেখা যায়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে তারা সেখানকার ভবনগুলোর বিভিন্ন রুমে রুমে ভাঙচুর চালায় বলে জানান স্থানীয় এক সাংবাদিক।
এই ঘটনার পরপর ই নির্বাচন ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ রা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে,সম্প্রতি, গেজেটের মাধ্যমে ৩০০ আসনের পুনরায় সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকে ভাঙ্গায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আর এই আন্দোলন ভয়ঙ্কর রূপ নেয় গতকাল থেকেই । সুষমভাবে আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে আন্দোলন করছিলেন ফরিদপুরের মানুষ গতকাল রাতেই ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। দ্রুত বিচার আইনে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
সার্বিক অবস্থা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে জেলা পুলিশ সুপার ও ভাঙ্গা থানার ওসিকে ফোন করলেও কোনরকম সাড়া তৎক্ষণাৎ মেলেনি।
এমকেআর/এআরই