
আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি পালনে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থার সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশন একসঙ্গে কাজ করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আত্মহত্যা সম্পর্কে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তন করে, সহানুভূতিশীল ও সহায়ক আলোচনার পরিবেশ গড়ে তোলা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেন। কিছু জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ থেকে ১৪ হাজারের মধ্যে। শুধু ২০২৪ সালেই আঁচল ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ৩১০ জন শিক্ষার্থী নিজের জীবন শেষ করেছেন।
বাংলাদেশে এতো আত্মহত্যার কারণ কি?
বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যার মতো ঘটনা, ঘটিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যেমন :
পারিবারিক সমস্যা – দাম্পত্য কলহ, পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বা ভুল বোঝাবুঝি।
ভালোবাসার ব্যর্থতা – প্রেমে প্রত্যাখ্যান বা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে মানসিক ভাঙন।
শিক্ষাগত চাপ – পরীক্ষায় ব্যর্থতা, ভালো ফলাফলের চাপ, পড়াশোনার উদ্বেগ।
অর্থনৈতিক সংকট – বেকারত্ব, দারিদ্র্য বা ঋণের চাপ।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা – বিষণ্নতা (ডিপ্রেশন), উদ্বেগ, একাকীত্ব।
সামাজিক চাপ – সমাজ বা আত্মীয়-স্বজনের অপমান, সম্মানহানি বা অবহেলা।
যৌন হয়রানি ও নির্যাতন – বিশেষ করে কিশোরী ও নারীদের ক্ষেত্রে।
জরুরি কিছু পদক্ষেপ:
১.যদি মনে হয় ঝুঁকি তাৎক্ষণিক, তবে-তাকে একা ছেড়ে দেবেন না।
২. তাকে নিয়ে, খোলামেলা পরিবেশে ঘুড়তে যান।সহানুভূতিশীল পরিবারকে জানান।
৩.স্থানীয় জরুরি হেল্পলাইন বা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৪.সেই ব্যক্তির সাথে, বেশি বেশি সময় কাটান তার সাথে গল্প করুন।
৫.প্রয়োজনে কাউন্সেলর বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।
এমএইচ/ দেশবিদেশ