
মবের আতঙ্কে প্রায় এক মাস ধরে কলেজে যাচ্ছেন না সরকারি আনন্দমোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাকির হোসেন। তার কক্ষে ঝুলছে তালা, থমকে আছে স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম। ফলে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে এক ধরনের অচলাবস্থা।
সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আমান উল্লাহ ওএসডি হওয়ার পর গত ৩ আগস্ট দায়িত্ব নেন উপাধ্যক্ষ মো. সাকির হোসেন। তবে তার দায়িত্ব গ্রহণকে অনেকেই মেনে নিতে না পেরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই উত্তেজনা চরম আকার নেয় ১২ আগস্ট, যখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। তারা সাকির হোসেনকে “ফ্যাসিস্টের দোসর” আখ্যা দিয়ে কলেজে প্রবেশে বাধা দেন।
অভিযোগ ওঠে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ছোট ভাই বাকের হোসেন নয়ন শহীদ সাগর হত্যা মামলার জেলখাটা আসামি। এই অভিযোগ ঘিরে আন্দোলন দীর্ঘায়িত হয়।
এরপর ১৮ আগস্ট সকালে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। ১০ তলা ভবনের একটি কক্ষে শিক্ষকদের সাথে বৈঠক চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে তার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে তিনি কক্ষে আটকা পড়েন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তাকে হেনস্থা করা হলে হতাশ অধ্যক্ষ একটি চিরকুট লিখে কলেজ ত্যাগ করেন। এরপর থেকে তিনি আর কলেজে যাননি।
বর্তমানে ক্যাম্পাস শান্ত থাকলেও এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। পাঠদান চলছে বটে, তবে দাপ্তরিক কাজে দেখা দিচ্ছে মারাত্মক অচলাবস্থা। বাসা থেকেই মোবাইলে জরুরি বিষয়গুলো সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কিন্তু স্বাভাবিক কাজকর্মে যুক্ত হতে পারছেন না তিনি।
জানতে চাইলে অধ্যক্ষ সাকির হোসেন বলেন, “আমি বাসাতেই আছি। যতটুকু সম্ভব, মোবাইল ফোনে দাপ্তরিক কাজ করছি।”