• রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

ফটিকছড়িতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২২০
সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
1757327921.fish

ফটিকছড়ি উপজেলার খাল ও হালদা নদীর সংযোগস্থলে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বিচারে মাছ শিকারে এক সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতে সন্ত্রাসী কৌশলে নদী ও খালে বিষ ঢেলে মাছ মেরে সকালে সেগুলো বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত হালদা নদীর নাজিরহাট ও রোসাঙ্গিরি অংশ, ধুরুং খালের পাইন্দং অংশ, তেলপারই খাল, ভূজপুর রাবারড্যাম সংলগ্ন এলাকা ও যোগিনীঘাটা এলাকায় এ ধরনের অনৈতিক মাছ শিকার নিয়মিত হয়ে চলেছে।

নাজিরহাটের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করছে। একই বিষয়ে যোগিনীঘাটের মোঃ মনির অভিযোগ করেছেন, হালদায় মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকার পরও প্রশাসনের নজরের সামনে গভীর রাতের গাঢ় অন্ধকারে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

এদিকে, এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে হালদার প্রাকৃতিক মাছের প্রজননের উপর মারাত্মক হুমকির ছায়া পড়তে দেখা যাচ্ছে, তবে উপজেলা মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এ জঘন্য চক্র দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা নদী গবেষক ড. মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেছেন, বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারা অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি বিষয়। তিনি উল্লেখ করেন, শুধু নদী ও খালের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্যই নয়, বরং এটি দেশের পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও বিপজ্জনক।

তিনি বলেন, “বিষ প্রয়োগের ফলে পানিতে থাকা অন্যান্য প্রাণী ও পরিবেশও ধ্বংস হয়ে যায়। এ ধরনের কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা মৎস্য অধিদপ্তর ও উপজেলা মৎস্য অফিসের দায়িত্ব।”

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আজিজুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এমআর/দেশবিদেশ


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ