• সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২২ অপরাহ্ন

ঢাবি ডাকসু নির্বাচন কাল, উত্তাপ ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসে

দেশবিদেশ প্রতিবেদক / ৬৬
সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
20250908 2156 image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ—ডাকসু নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার। গতকাল রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত ছিল প্রচারের সময়সীমা। শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে মিছিল, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণে ব্যস্ত সময় কাটান।

এবার ডাকসুর ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন—মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক (৪৭.৫৫ শতাংশ)। ফলে বড় পদগুলোর জয়-পরাজয়ে ছাত্রীদের ভোটই নির্ণায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিশ্রুতির বন্যা

রবিবার দুপুরে কলা ভবনের সামনে শপথ নেয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হবে আমাদের অঙ্গীকার।” একইদিন জোহরের নামাজের পর সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে প্রচার চালান ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর হবে ব্যালট বিপ্লব।”

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের বিকেলে গণগ্রন্থাগারের সামনে গণসংযোগে অংশ নেন। মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের প্রার্থী নাইম হাসান হৃদয়। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা ও বাম জোট সমর্থিত শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি আবাসিক হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চান।

ছাত্রীদের টার্গেট

নারী প্রার্থীদের মধ্যে উমামা ফাতেমা ও শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ছাত্রীদের হলে কক্ষে কক্ষে গিয়ে প্রচার চালাতে সক্ষম হন। তবে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরও প্রজেকশন মিটিংয়ের সুযোগে ছাত্রীদের কাছে নিজেদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। ছাত্রীসংস্থার কর্মীরা হলে হলে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন বলেও জানা গেছে।

আচরণবিধি ভাঙার প্রতিযোগিতা

প্রার্থীরা ভোটার টানতে নিয়ম ভঙ্গ করছেন—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটারদের খাওয়ানো, টাকা দেওয়া ও উপঢৌকন দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বলে জানা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েছে।

অনলাইন প্রচারে গতি

এবারের নির্বাচনে অনলাইন প্রচারও বেশ তৎপর। ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল একাধিক ভিডিও বুস্টিং করেছে। শিবিরের একটি টিম পুরোপুরি ভিডিও প্রচারে কাজ করছে। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্রার্থীরাও অনলাইন প্রচারে জোর দিচ্ছেন।

স্থানীয় নেতাদের ফোন

কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, তাদের নিজ এলাকার রাজনৈতিক নেতারা ফোন করে নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের পাশাপাশি জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতারাও একইভাবে ভোট চাইছেন বলে জানা গেছে।

ডাকসুর এবারের ভোটে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান তৈরি করতে পারে নারী ভোট। শিক্ষার্থীদের আলোচনায় এখন শুধু একটি প্রশ্ন—কে হচ্ছেন ডাকসুর আগামী দিনের ভিপি?


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ