
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের পূর্বে কোনো ধরনের সাংবিধানিক সংস্কার সম্ভব নয়। সংবিধান সংশোধনের জন্য একমাত্র প্ল্যাটফর্ম হলো জাতীয় সংসদ। এর বাইরে কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংবিধান সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন হলে সেটি হবে অসাংবিধানিক এবং আইনগত বৈধতা পাবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। পাশাপাশি, আগস্টে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে একই ধারার মতামত তুলে ধরা হয়েছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।
ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের সংকট বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমান সংবিধানের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে সংবিধানের বৈধতা রক্ষা করা এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। সংবিধানের সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই সংসদের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে। অন্যথায়, তা হবে সাংবিধানিক বিচ্যুতি।”
তিনি আরো বলেন, “যেসব সংস্কার সাধনের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই, সেগুলো অধ্যাদেশ বা প্রশাসনিক নির্দেশের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতে পারে। তবে কোনোভাবেই সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে সংস্কার প্রক্রিয়া চালানো উচিত হবে না। এই ধরনের বিষয়গুলো আদালতেও গ্রহণযোগ্য হবে না।”
বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট রয়েছে-বিএনপি ঘোষণা করেছে যে, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গঠিত সরকার নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়বদ্ধ। এর বাইরে এ সরকারের কোনো অতিরিক্ত ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। সংবিধানের বাইরে গিয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তবে সেটি হবে অগণতান্ত্রিক এবং গ্রহণযোগ্য নয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “যদি অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে তার বৈধতা কে নিশ্চিত করবে? আদালতও এমন সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেবে না। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে একটি স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করা অতীব জরুরি।”
এআরই/এমআর/দেশবিদেশ