
বুধবার বেইজিংয়ে এক অভূতপূর্ব সামরিক কুচকাওয়াজে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে চীন। উন্নত ড্রোন, আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উন্মোচনের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি আবারও জানিয়ে দিল—তারা এখনো অটল শক্তিতে প্রস্তুত।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা একে বর্ণনা করেছেন “বাতাসে গর্জন ছড়ানো এক দুর্বার প্রদর্শনী” হিসেবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রদর্শন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রশক্তির প্রতি স্পষ্ট বার্তা বহন করছে।
এই ঐতিহাসিক প্যারেডে আমন্ত্রিত ছিলেন দুই ডজনেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান। বিশ্লেষক নেইলের ভাষায়, এটি শুধু শক্তি প্রদর্শন নয়, বরং সম্ভাব্য ক্রেতাদের সামনে চীনের অস্ত্রশক্তি তুলে ধরার কৌশল—অর্থাৎ বহুমাত্রিক অস্ত্র বিপণন। ইতোমধ্যেই মিয়ানমার চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কিনেছে। অধ্যাপক রাস্কার মতে, নতুন ক্রেতা বাড়লে চীন বৈশ্বিক প্রভাব আরও বিস্তৃত করতে পারবে।
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিও বাড়িয়ে দেয় প্যারেডের গুরুত্ব। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একসাথে মঞ্চে দাঁড়িয়ে যেন নতুন মৈত্রীর প্রতীকী বার্তা দিলেন।
এ ঘটনাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা–কল্পনা। কেউ দেখছেন চীনের কৌশলগত অবস্থান আরও দৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা, কেউ বা দেখছেন নতুন শীতল যুদ্ধের পূর্বাভাস। নেইলের মতে, “এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক সতর্ক সংকেত—চীনের চ্যালেঞ্জ নিতে গেলে একসাথে বহু ফ্রন্টে (কোরীয় উপদ্বীপ, তাইওয়ান প্রণালী ও ইউক্রেন) যুদ্ধের ঝুঁকি নিতে হবে।”
তিনি সতর্ক করেন, “একই সময়ে এতগুলো ক্ষেত্রে চাপ এলে যুক্তরাষ্ট্র কোনো এক দিক থেকে ভেঙে পড়তে পারে।”
এমকেআর/এআরই