
ঢাকায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে ভিপি নুরুল হক নুরের হামলার প্রতিবাদে সকাল থেকে উত্তাল চট্টগ্রাম, বিক্ষোভ করে সমর্থকরা।
শনিবার(৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ২ নম্বর গেইট মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে অবরোধ শেষে মিছিল নিয়ে নগরের ওয়াসার মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয় ঘেরাও করে আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা ভিপি নুরের উপর হামলাকারীদের শাস্তি ও জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে আহত নুরুল হক নুরের ছবি সম্বলিত ব্যানার হাতে নগরের ২ নম্বর গেইট এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে এবং ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভে যোগ দেন।
এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪-এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পিছনে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন ভিপি নুর। যার কারণে স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে গতকাল এই হামলা চালায়। তারা দাবি করেন নুরের উপর এই হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি জড়িত। আন্দোলনকারীরা ভিপি নুরের উপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। অন্যথায় চট্টগ্রাম থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।
প্রায় আড়াই ঘন্টা সড়ক অবরোধ রাখার পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা সিএমপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা পুলিশ কমিশনারের কাছে দাবি জানান, গতকাল ভিপি নুরের উপর হামলা ও জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হত্যাকারীদের যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সড়ক ছেড়ে যান আন্দোলনকারীরা। তবে তারা দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।