আজকের সর্বশেষ


নিরাপদে মজাদার গ্রিল করতে ৮ বিষয় জেনে নিন





শেয়ার

দেশবিদেশ২৪.কম অনলাইন ডেস্ক : অনেকেই মাংস গ্রিল করতে গিয়ে সঠিকভাবে তা করেন না। এতে স্বাস্থ্যগত নানা হুমকি তৈরি হতে পারে। কারণ অস্বাস্থ্যকর গ্রিল নানা মারাত্মক রোগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ। ১. গ্রিল সেটআপের নিয়ম গ্রিল করার জন্য আপনার একটি প্রশস্ত স্থান বেছে নিতে হবে। সে স্থানের ভূমি হওয়া চাই সমতল, যেন জিনিসপত্র গড়িয়ে না পড়ে। এছাড়া গ্রিল করার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও ব্রাশ পরিষ্কার করে নিতে হবে। ২. আগুনের জন্য আগুন ধরানোর আগে নিরাপত্তার বিষয়টি ঠিকভাবে জেনে নিন। বহু মানুষই অপরিকল্পিতভাবে আগুন ধরাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হন। এ ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতাই আপনার মূল্যবান জীবন ও সম্পদ রক্ষা করতে পারে। গ্যাস দিয়ে গ্রিল করতে হলে প্রোপেন গ্যাস অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। যেখানে গ্রিল করবেন তার আশপাশে আগুনে জ্বলার মতো উপাদান থাকলে সেগুলো সরিয়ে ফেলুন। গ্রিলের আগুন হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যেতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকুন। ছোট শিশুদের দূরে রাখুন। ৩. গ্রিল মাস্টার হোন মজাদার গ্রিল করার জন্য সবার আগে মাংসটি মেরিনেট করে নিতে হবে। এরপর তা গ্রিল করার জন্য কয়লার ওপর দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে মজাদার গ্রিলের জন্য একটি মূলমন্ত্র জেনে রাখতে হবে। সেটা হলো গ্রিল কখনোই রেখে চলে যাওয়া যাবে না। যতক্ষণ আগুন বা উত্তপ্ত কয়লার ওপর আছে ততক্ষণই তাতে মনোযোগী থাকতে হবে। গ্রিলের জন্য প্রয়োজনীয় মসলা ও তেল আগেই প্রস্তুত করে রাখতে হবে। এটি মাংসের ওপর কিছুক্ষণ পর পর ব্রাশ করে দিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। ৪. গ্যাস দিয়ে গ্রিল গ্যাসের আগুনের ওপরেও গ্রিল করা যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো গ্যাস হলো প্রোপেন। সেটি পাওয়া না গেলে প্রাকৃতিক গ্যাসেও করা যাবে। এক্ষেত্রে গ্রিলের ওপর যেন অতিরিক্ত আগুনের শিখা না পড়ে সেজন্য সচেষ্ট হোন। ৫. কয়লার গ্রিল খনিজ কয়লা দিয়েও গ্রিল করা যায়। এজন্য খুব একটা ঝামেলা নেই। আগুন দিয়ে কয়লাকে কিছুটা উত্তপ্ত করে নিলেই তা নিজে থেকে জ্বলতে থাকবে। এর ওপর গ্রিল রাখলেই চলবে। ৬. কাঠকয়লার গ্রিল কাঠকয়লার আগুনে গ্রিল করা হলে তাতে ভিন্নধরনের একটি মজাদার স্বাদ আসে। আর এ ক্ষেত্রে কাঠ কয়লা বানাতে চাইলে কাঠ নিয়ে কিছুক্ষণ আগুনে পেড়াতে হবে। এরপর তা ছোট ছোট টুকরোর কয়লাতে রূপান্তরিত হলেই গনগনে আগুন নিভিয়ে ফেলতে হবে। এরপর তার ওপর গ্রিল রেখে তাতে বাতাস দিলেই হবে। এ সময় ঠিক গনগনে আগুন থাকবে না কিন্তু উত্তপ্ত কয়লা থাকবে। গ্রিল হয়ে গেলেও এ কয়লা যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। কারণ এগুলো খুবই বিপজ্জনক এবং তা থেকে অগ্নিকাণ্ড হতে পারে। এ কয়লা ব্যবহার করে পরবর্তীতে আবারও গ্রিল করা সম্ভব। ৭. শিশুদের সাবধান গ্রিল করার সময় শিশুরা যদি আশপাশে থাকে তাহলে তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের ছোট ছোট কাজ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই যেন গরম জিনিসের সংস্পর্শে না আসে সে জন্য সতর্ক হোন। ৮. পরিপূর্ণ গ্রিল গ্রিল মজাদার করতে হলে তাকে আগুনের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে বহুক্ষণ ধরে রাখতে হবে। এটি এক ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় রাখতে হতে পারে। এ ছাড়া সব সময় তা নাড়াচাড়া করতে হবে যেন সব স্থানে আগুনের তাপ লাগে। গ্রিল হয়ে গেলে তা যত দ্রুত খাওয়া হবে ততই মজা হবে। ঠাণ্ডা গ্রিলের স্বাদ ভালো নাও হতে পারে।

লাইফস্টাইল


শেয়ার