অবৈধ অর্থ পাচার,জাল টাকা সরবরাহ,মাদক ও নারী ব্যবসায় জড়িত পাপিয়া পিউ গ্রেফতার





শেয়ার

দেশবিদেশ২৪ডেস্কঃ   অবৈধ অর্থ পাচার, জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় গ্রেফতার যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। সুন্দরী নারীদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অনৈতিক ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি। এছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন এই পাপিয়া।

 

তার বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন র‌্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য দেন।

 

র‌্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই বেশি পরিচিত। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে জাল মুদ্রা সরবরাহ, বিদেশে অর্থপাচার এবং অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

সেই পাপিয়াকে বহিষ্কার করল যুব মহিলা লীগ

 

মদের বারে দিনে আড়াই লাখ টাকা বিলই দিতেন যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া।

 

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এসব ব্যাপারে অনুসন্ধান করছিল র‌্যাবের একটি দল। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শনিবার সকালে তড়িঘড়ি করে দেশত্যাগের চেষ্টা চালান পাপিয়া। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

 

অবশেষে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গোপনে দেশত্যাগের সময় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সেক্রেটারি শামিমা নূর পাপিয়াকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদের কাছে পাওয়া গেছে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন।

 

র‌্যাবের লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফীউল্লাহ বুলবুল বলেন, গাড়ির ব্যবসার আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। সমাজসেবার নামে তিনি নরসিংদীর অসহায় নারীদের অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে আসছিলেন। নরসিংদীতে চাঁদাবাজির জন্য তার একটি ক্যাডার বাহিনী আছে।

 

স্বামীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অবৈধ অস্ত্র-মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে তিনি অল্প সময়ে নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের মালিক হয়েছেন। তিনি গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে বুক করে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন।

 

র‌্যাব জানায়, দেশে স্ত্রীর ব্যবসায় সহযোগিতার পাশাপাশি থাইল্যান্ডে তার বারের ব্যবসা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র-মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন।

তিনি স্ত্রীর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় নারীদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার করেন। নরসিংদীর ‘কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন’ নামের প্রতিষ্ঠানটির আড়ালে চলে মাদক ব্যবসা। জেলা শহরের বাইরে গেলে ক্যাডার বাহিনী তাকে বিশাল গাড়িবহরের মাধ্যমে মহড়া দিয়ে থাকে।

ঢাকা


শেয়ার