
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আটজনকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালতে এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন কড়া প্রহরায় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় গ্রেপ্তারকৃত আট আসামিকে। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ইমরান হোসেন এমরান, মো. হাসান, মো. রাসেল ওরফে কালা রাসেল, মো. আলমগীর, নজরুল ইসলাম, মো. জাহেদ, মো. আরমান এবং দিদারুল আলম। তারা হাটহাজারীর ফতেহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলে হোসেন রাব্বি সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আটজন বর্তমানে কারাগারে আছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে রোববার শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয়। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। শুনানির পরবর্তী তারিখ আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন একটি ভবনের ভাড়াটিয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীর তর্কবিতর্ককে কেন্দ্র করে ছাত্রদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের রেশ গড়ায় পরদিন ৩১ আগস্ট সারাদিনব্যাপী। ভয়াবহ ওই সহিংসতায় শিক্ষার্থী, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, এমনকি উপ-উপাচার্যসহ কয়েকশ মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।
ঘটনার দুই দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবদুর রহিম বাদী হয়ে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মো. হানিফকে প্রধান আসামি করে ৯৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক মামলা দায়ের করেন।
এমকেআর/দেশবিদেশ